OrdinaryITPostAd

5G কী? ৫জি'র সুবিধা অসুবিধাসহ বিস্তারিত আলোচনা

আমরা প্রায়ই শুনে থাকি 3G, 4G, 5G কিন্তু এই 3G, 4G, 5G আসলে কি? আজকের এই লেখায় আপনারা জানতে পারবেন এগুলো সম্পর্কে। বিশেষ করে 5G সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে। এছাড়া থাকছে 5G ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা।

জেনারেশনের ইতিহাস

আমরা আজকাল সবাই ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত। আজকের এই লেখাটি পড়ছেন নিশ্চয় কোনো কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করে। আর এই কম্পিউটার বা মোবাইলে ইন্টারনেট সংযুক্ত করে তো অনেক কাজই করেছেন। তাহলে এতো দিনে নিশ্চয়ই উপলব্ধি হয়েছে যে, আগে ইন্টারনেটে যেই কাজ করতে বেশি সময় লাগতো বর্তমানে তার চেয়ে কম সময় লাগছে। কেনো এমনটা হচ্ছে বলুন তো? উত্তর হচ্ছে- জেনারেশন বদলানোর কারনে।

5G কী? ৫জি'র সুবিধা অসুবিধাসহ বিস্তারিত আলোচনা

আগে আমরা 1G ব্যবহার করতাম তারপর আসতে আসতে সময় অতিক্রমের সাথে সাথে আরেকটি জেনারেশন আসলো-- 2G...এই 2G-এর স্পীড 1G থেকে বেশি। তাই লোকজন 1G ছেড়ে  2G ব্যবহার করতে লাগলো। ঠিক এভাবে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে 2G থেকে 3G আসলো তারপর  4G আসলো। প্রতিটি জেনারেশনের স্পীড আগের জেনারেশন থেকে বেশি।

বর্তমানে বাজারে সবচেয়ে বেশি যেটি প্রচলিত সেটি হচ্ছে  4G তবে প্রযুক্তির কল্যানে এই 4G থেকেও আরো অধিকতর স্পীড নিয়ে বাজারে এসেছে 5G. তবে এই 5G-এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুব বেশি না।

সকল জেনারেশনের স্পীড লিমিট

  • 3G এর স্পীড ২০০ কিলোবাইট  থেকে ১ বা ২মেগাবিট পর্যন্ত হতে পারে।
  • 4G এর স্পীড ১০০০ মেগাবিট পর্যন্ত হতে পারে।
  • 5G এর স্পীড ১০০০০ মেগাবিট থেকে ১.৯ গিগাবিট পর্যন্ত হতে পারে।

5G ব্যবহার করতে যা যা লাগবে

  • খুব কম দেশে খুব অল্প সংখ্যক ব্যবহারকারী পাওয়া যাবে যারা 5G ব্যবহার করছে। তবে আপনি চাইলেই 5G ব্যবহার করতে পারবেন না। 
  • আপনার 5G enabled mobile phone লাগবে।
  • আপনি ব্যবহার করতে পারেন SAMSUNG GALAXY S10 5G যার বাজারমূল্য ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
  • এছাড়া 5G নেটওয়ার্ক তো লাগবেই।
  • কিন্তু আমাদের দেশে আপাতভাবে 5G-এর কোনো নেটওয়ার্কের টাওয়ার স্থাপন করা হয়নি, তাই বর্তমানে বাংলাদেশে এটি ব্যবহারের সুযোগ নেই।

5G ব্যবহারের সুবিধা

  • মনে করুন, আপনি একটি ২ ঘন্টার মুভি ডাউনলোড দিতে চান, 3G-তে Download হতে ১ ঘন্টা সময় লাগলে, 4G-তে সেই Movie Download হতে   সাধারণত ৬ থেকে ৭ মিনিট লাগবে এবং সেই মুভি 5G-তে ৬ থেকে ৭ সেকেন্ডে  Download করা যাবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন 5G-এর স্পীড কতোটা বেশি!! 
  • এই স্পীড যে শুধু মুভি ডাউনলোড করার কাজে লাগবে তা নয়। সুপার ফাস্ট স্পীড দিয়ে যেকোনো গেইম অনায়াসেই খেলা যাবে।
  • কমিউনিকেশন টেকনোলজিতে বিপুল পরিবর্তন আসবে।
  • Youtube-এ fast forward করলে বা ১০,১৫ সেকেন্ড স্কিপ করলেও কোনো বাফারিং হয় না।

5G ব্যবহারের অসুবিধা

  • 5G সরাসরি ব্যবহার করলে বেশি স্পীড পাওয়া যাবে তবে Tower থেকে আমাদের ফোনে সিগন্যাল আসার মাঝপথে যদি কোনো বাড়ি বা পাহাড় থাকে তাহলে এটির সিগন্যাল আসা বন্ধ হয়ে যায়।
  • ঝড় বৃষ্টির সময় এটির সিগন্যাল অনেক বাধাগ্রস্থ হয়।
  • Youtube বা যেকোন platform-এ video upload দেওয়ার সময় স্পীড অনেক কম পাওয়া যায়।
  • Mobile-এ চার্জ তুলনামূলক দ্রুত শেষ হয়।
  • খুব কম কাজ করলেও মোবাইল খুব দ্রুত গরম হয়।
  •  
এখন আমাদের দেশে 5G পুরোপুরি ভাবে চালু না হলেও অদুর ভবিষ্যতে বাংলাদেশেও 5G নেটওয়ার্ক আসবে। তখন বাংলাদেশ অন্যান্য সেক্টরেও অনেক উন্নতি করতে পারবে। লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন। কোনো প্রশ্ন থাকলে মন্তব্য করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url