বাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসের প্রবণতা
জনপ্রিয় ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিবাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসের প্রবণতা আজকের সময়ে অনেক দ্রুত উন্নতি লাভ
করছে। লকডাউন ও অনলাইন শপিংএর কারণে ই-কমার্স, অন-ডিমান্ড ডেলিভারি ও
মার্কেটপ্লেস অ্যাপে কেনাকাটা প্রায় দিন দিন আরো অনেক বেরেই চলেছে।
আজকের আর্টিকেলে আমরা দেখব কোন প্ল্যাটফর্মগুলো গ্রাহক আকৃষ্ট করছে এবং কীভাবে
ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস বাংলাদেশে ব্যবসার নতুন দিগন্ত খুলছে। তাই মনোযোগ সহকারে
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পরুন।
পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসের প্রবণতা
বাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসের প্রবণতা
বাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসের প্রবণতা দিনে দিনে আশ্চর্যজনক হারে বৃদ্ধি
পাচ্ছে। শুধুমাত্র শহর নয়, বর্তমানে গ্রামাঞ্চলেও মানুষ অনলাইনে কেনাকাটার
প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এক সময়ের সীমিত ইন্টারনেট ব্যবহার এখন সাশ্রয়ী ডেটা
প্যাক, উচ্চগতির মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং সবার হাতে হাতে স্মার্টফোনের কারণে অনেক
সহজ হয়ে গেছে। ফলে গ্রাহক ও বিক্রেতা উভয়ের মধ্যে অনলাইন মার্কেটপ্লেস নিয়ে
আগ্রহ যেমন বেড়েছে, তেমনি বিশ্বাস ও নির্ভরযোগ্যতাও গড়ে উঠেছে।
শুধু আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম নয়, এখন দেশের নিজস্ব ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেমন
Daraz, Pickaboo, AjkerDeal, Rokomari কিংবা Bikroy.com প্রচণ্ড জনপ্রিয়তা
পেয়েছে। এইসব প্ল্যাটফর্মে যে কেউ খুব সহজে রেজিস্ট্রেশন করে নিজের প্রোডাক্ট
যুক্ত করতে পারে, যা আগে কল্পনাও করা যেত না। পণ্যের ছবি আপলোড, মূল্য
নির্ধারণ, কুরিয়ার সেটআপ, এমনকি পেমেন্ট সংগ্রহ সব কিছুই এখন কয়েকটি ক্লিকের
মাধ্যমেই করা যায়।
এছাড়াও ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম ভিত্তিক সোশ্যাল কমার্সেরও একটি বিশাল প্রবাহ
তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এখন হ্যান্ডমেড পণ্য, পোশাক,
কসমেটিকস বা খাবার অনলাইনে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। ক্রেতারা মেসেঞ্জারে
অর্ডার করছেন, বিক্রেতারা বিকাশ বা নগদে টাকা নিচ্ছেন এটাই নতুন যুগের বাজার
ব্যবস্থার রূপ।
আরও পড়ুনঃ
বাংলা আটিকেল লিখে আয় করার সাইট
একইসঙ্গে দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট বা ব্যাংক
কার্ড সিস্টেমও এই প্রবণতাকে আরও সহজ ও নিরাপদ করে তুলেছে। এখন একজন বিক্রেতা
ঢাকায় বসে কুষ্টিয়ার একজন গ্রাহককে পণ্য পাঠিয়ে বিকাশে টাকা গ্রহণ করতে পারছেন।
আগে যেটা ছিল অসম্ভব, এখন তা নিত্যদিনের বিষয়।সবমিলিয়ে বাংলাদেশের ডিজিটাল
মার্কেটপ্লেসের প্রবণতা আমাদের অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি
একদিকে যেমন যুব সমাজকে উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করছে, অন্যদিকে দেশের
কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও বিশাল অবদান রাখছে। ভবিষ্যতে এই প্রবণতা আরও বাড়বে বলে
আশা করছে বিশ্লেষকরা।
জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস প্ল্যাটফর্ম
বাংলাদেশে বেশ কিছু জনপ্রিয় ডিজিটাল মার্কেটপ্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে
লাখো মানুষ প্রতিদিন পণ্য ও সেবা লেনদেন করছে। এর মধ্যে Daraz অন্যতম, যারা
Alibaba গ্রুপের অংশ হওয়ায় আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা দেয়। এছাড়া Pickaboo,
Ajkerdeal, Rokomari বই কেনার জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয়। অনেকেই Bikroy.com বা
ClickBD-এর মতো ক্লাসিফাইড মার্কেটপ্লেসেও পণ্য কেনাবেচা করে থাকেন।
এর বাইরে Foodpanda বা Pathao Food এখন খাবার ডেলিভারি মার্কেটপ্লেস হিসেবেও
বিস্তৃত হয়েছে। শুধু পণ্য নয়, Freelancer, Sheba.xyz, AmarSheba এর মতো সেবা
ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মগুলোও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এইসব প্ল্যাটফর্মে সাধারণত
সেলার রেজিস্ট্রেশন ফ্রি, তবে কিছু কমিশন দিয়ে পণ্য বিক্রি করতে হয়। প্রতিদিন
হাজার হাজার পণ্য অর্ডার হয় এসব সাইটে, যা থেকে বোঝা যায় যে ডিজিটাল
মার্কেটপ্লেস এখন দেশের বাজারের ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হয়েছে।
ক্রেতা-বিক্রেতার আচরণ
ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের আচরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ক্রেতারা এখন আগের চেয়ে বেশি সচেতন, তারা দাম, রিভিউ, রেটিং, ডেলিভারি টাইম
এবং পণ্যের গুণগত মানের ওপর ভিত্তি করে অর্ডার দেন। অনেকেই একাধিক সাইটে দাম
মিলিয়ে দেখে তারপর অর্ডার করেন। অন্যদিকে বিক্রেতারাও এখন আরও পেশাদার হয়ে
উঠছে।
তারা ভালো পণ্যের ছবি আপলোড করেন, প্রোডাক্ট ডিসক্রিপশন পরিষ্কার রাখেন এবং
দ্রুত ডেলিভারি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। বিক্রেতারা বুঝে গেছেন, ভালো সার্ভিস
না দিলে রেটিং খারাপ হবে, ফলে ভবিষ্যতে অর্ডার কমে যাবে। তবে এখনো কিছু অসাধু
বিক্রেতা রয়েছেন যারা ভুল পণ্য পাঠায় বা ডেলিভের দেরি করেন। একারণে
মার্কেটপ্লেসগুলো এখন নিজেরাই কাস্টমার কেয়ারে নজর দিচ্ছে যাতে ক্রেতারা আস্থা
পায়।
মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি
প্রতিটি ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত।
সাধারণত বিক্রেতারা তাদের প্রতিযোগীদের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাম
নির্ধারণ করেন। তবে অনেক সময় প্ল্যাটফর্মগুলো নিজস্ব ডিসকাউন্ট বা অফার চালু
করে, যা মূল্য নির্ধারণে প্রভাব ফেলে। এছাড়াও ডেলিভারি চার্জ, প্রোডাক্ট
কোয়ালিটি, ব্র্যান্ড ভ্যালু ইত্যাদিও দামের ওপর প্রভাব ফেলে। কিছু
মার্কেটপ্লেস যেমন Daraz বা Pickaboo তাদের নিজস্ব প্রাইসিং মডেল ফলো করে,
যেখানে ফ্ল্যাশ সেল, কুপন ডিসকাউন্ট ইত্যাদি নিয়মিত দেওয়া হয়।তবে দামের
স্বচ্ছতা বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ক্রেতারা প্রতারিত না হন এবং
প্ল্যাটফর্মে আস্থা বজায় থাকে।
প্রমোশনাল কৌশল
ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে সফল হতে হলে শুধুমাত্র প্রোডাক্ট লিস্ট করলেই চলবে না,
প্রয়োজন সঠিক প্রমোশনাল কৌশল। আজকের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজের ব্র্যান্ড বা
প্রোডাক্টকে ক্রেতাদের সামনে দৃশ্যমান করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এজন্য
ব্যবহার করা হয় ডিজিটাল বিজ্ঞাপন, ডিসকাউন্ট অফার, কুপন কোড, ফ্রি ডেলিভারি এবং
সিজনাল ক্যাম্পেইনের মতো কার্যকরী প্রমোশনাল টেকনিক। অনেক মার্কেটপ্লেস নিজেরাই
সেলারদের জন্য স্পন্সরড প্রোডাক্টের অপশন দেয়, যেখানে অল্প বাজেট খরচ করে
নির্দিষ্ট প্রোডাক্টকে হোমপেজ বা ক্যাটাগরি পেজে উপরে দেখানো যায়। তাছাড়া
Facebook Boost, Google Ads বা Influencer Marketing এর মাধ্যমেও প্রোডাক্ট
প্রচার করা যায়।
তবে শুধু বিজ্ঞাপন দিলেই হবে না, দরকার ক্রেতাদের আগ্রহ তৈরি করা। এজন্য
প্রোডাক্টের ছবি ও ভিডিও আকর্ষণীয় হতে হবে, ক্যাপশন ও ডিসক্রিপশন যেন সমস্যার
সমাধান দেয় এমনভাবে তৈরি করতে হবে। প্রমোশনাল পোস্টে CTA (Call To Action)
যেমন এখনই অর্ডার করুন, স্টক সীমিত ইত্যাদি ব্যবহার করে কনভার্শন বাড়ানো যায়।
একজন সচেতন সেলার অবশ্যই তার মার্কেটিং প্ল্যানের মধ্যে নিয়মিত প্রমোশনাল
কার্যক্রম রাখবেন। এতে শুধু বিক্রি বাড়ে না, ব্র্যান্ড রিকল ও ক্রেতাদের সঙ্গে
সম্পর্কও উন্নত হয়।
লজিস্টিক সাপোর্ট
একটি ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস তখনই কার্যকর হয় যখন পণ্য সময়মতো এবং নিরাপদে
ক্রেতার হাতে পৌঁছে যায়। আর এই কাজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
লজিস্টিক সাপোর্ট। বাংলাদেশে ই-কমার্স ও মার্কেটপ্লেসের প্রসারের সাথে সাথে
লজিস্টিক কোম্পানিগুলোর চাহিদাও অনেক বেড়ে গেছে।Daraz, Evaly, Othoba, Rokomari
এর মতো বড় মার্কেটপ্লেস নিজেদের ইন-হাউস ডেলিভারি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। এছাড়া
Sundarban Courier, Paperfly, Pathao, RedX, eCourier-এর মতো কোম্পানিগুলো
সেলারদের পক্ষ থেকে প্রোডাক্ট সংগ্রহ করে ডেলিভারি দেয়। আজকাল ঢাকার ভিতরে ২৪
ঘণ্টার মধ্যেই প্রোডাক্ট পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
তবে সমস্যাও রয়েছে। অনেক সময় প্রোডাক্ট ভেঙে যায়, দেরিতে পৌঁছায় বা ভুল
ঠিকানায় চলে যায়। এজন্য অনেক মার্কেটপ্লেস রিভিউ সিস্টেম চালু করেছে যেখানে
ক্রেতা তার ডেলিভারি অভিজ্ঞতা জানাতে পারে। লজিস্টিক সাপোর্টের মান উন্নত করা
হলে মার্কেটপ্লেসে ক্রেতার আস্থা বাড়ে এবং বিক্রি বৃদ্ধি পায়। এজন্য প্রতিটি
সেলার ও মার্কেটপ্লেস কর্তৃপক্ষের উচিত, লজিস্টিক পার্টনার বেছে নেওয়ার সময়
দক্ষতা, সময়ানুবর্তিতা ও প্যাকেজ হ্যান্ডলিং কৌশল বিবেচনায় নেওয়া।
রিভিউ ও রেটিং সিস্টেম
একটি ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে পণ্যের মান যাচাই করতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো
রিভিউ ও রেটিং। একজন ক্রেতা যখন কোনো পণ্য অর্ডার দেন, তখন তিনি প্রায়ই আগের
ক্রেতাদের রিভিউ দেখে সিদ্ধান্ত নেন। সুতরাং রিভিউ ও রেটিং একটি মার্কেটপ্লেসের
বিশ্বাসযোগ্যতার মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে। Daraz, Pickaboo, Rokomari-এর মতো
প্ল্যাটফর্মগুলো প্রতিটি পণ্যের নিচে রিভিউ দেওয়ার অপশন রাখে। একজন ক্রেতা পণ্য
রিসিভ করার পর তার অভিজ্ঞতা জানাতে পারেন পণ্যের গুণমান, ডেলিভারি সময়, সার্ভিস
ইত্যাদি বিষয়ে।
আরও পড়ুনঃ
ঘরে বসে কাজ করে মোবাইলে আয় করার উপায়
ভালো রিভিউ ও উচ্চ রেটিং পেলে পণ্যের বিক্রি অনেকটাই বেড়ে যায়। আবার খারাপ
রেটিং থাকলে বিক্রি কমে যেতে পারে। এজন্য সেলারদের উচিত সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও
পেশাদারিত্বের সাথে অর্ডার প্রসেস করা।তবে অনেক সময় কিছু সেলার ভুল পণ্য পাঠিয়ে
রিভিউ খারাপ করে ফেলে। আবার কিছু ক্রেতা বিনা কারণে খারাপ রিভিউ দেন। এজন্য এখন
অনেক মার্কেটপ্লেস রিভিউ যাচাই-বাছাই করে এবং নিরপেক্ষ রেটিং প্রদানের ব্যবস্থা
রাখে। এই সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্যই এটি লাভজনক
হয়।
পেমেন্ট সিকিউরিটি
ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে লেনদেনের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্রেতারা যেন
নিশ্চিন্তে টাকা পরিশোধ করতে পারেন এবং বিক্রেতারা যেন সঠিক সময়ে অর্থ পেতে
পারেন এই উদ্দেশ্যে মার্কেটপ্লেসগুলো বিভিন্ন পেমেন্ট সিকিউরিটি ব্যবস্থা গ্রহণ
করেছে। বর্তমানে বেশিরভাগ ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস ব্যাংক কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং
(bKash, Nagad, Rocket), ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং COD (Cash on Delivery)
সাপোর্ট করে। তবে অনেকেই অনলাইন পেমেন্টে দ্বিধায় থাকেন, কারণ তারা চিন্তা করেন
টাকা পাঠানোর পর পণ্য না পেলে কী হবে।
এই সমস্যা সমাধানে Escrow System চালু হয়েছে, যেখানে ক্রেতার পেমেন্ট প্রথমে
মার্কেটপ্লেসের কাছে থাকে এবং পণ্য ডেলিভারি নিশ্চিত হওয়ার পর সেলার অর্থ
পায়। Daraz এই ব্যবস্থা অনেকদিন ধরেই অনুসরণ করছে। সেলারদের ক্ষেত্রেও পেমেন্ট
নিরাপত্তা জরুরি। সময়মতো টাকা না পেলে তাদের ব্যবসায়িক সমস্যা হয়। এজন্য
মার্কেটপ্লেসগুলো সেলারদের জন্য সাপ্তাহিক/পাক্ষিক পেমেন্ট সিস্টেম রাখে।
ডিজিটাল লেনদেনের এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা যত উন্নত হবে, তত বেশি মানুষ ডিজিটাল
মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করবে।
আইনি ও কর নীতিমালা
ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে আইনি কাঠামো এবং কর নীতিমালার
গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসার জন্য এখন ট্রেড লাইসেন্স,
BIN, এবং কিছু ক্ষেত্রে VAT রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন। তবে অনেক ছোট উদ্যোক্তা
এখনো এই নিয়মের বাইরে কাজ করছেন। ২০২১ সালের পর থেকে সরকার ডিজিটাল
মার্কেটপ্লেসগুলোর কার্যক্রম তদারক করতে ICT Division, E-Commerce Cell, এবং
VAT Online Project-এর মাধ্যমে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করছে। এসব নীতিমালার মধ্যে
পণ্য ফেরত নীতি, কাস্টমার রাইটস, এবং অনলাইন ট্রান্সেকশন নিরাপত্তা অন্যতম।
এছাড়া Tax ID থাকা না থাকায় অনেকে পেমেন্ট সমস্যায় পড়ে। ভবিষ্যতে এ খাতে আয়
বৈধভাবে করতে হলে কর নীতিমালা অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক হয়ে উঠবে। সেলারদের উচিত
সময় থাকতে এসব প্রক্রিয়া ঠিক করা, যাতে হঠাৎ কোনো আইনি ঝামেলায় না পড়তে হয়।
কারণ একটি নির্ভরযোগ্য মার্কেটপ্লেসের জন্য আইনি স্বচ্ছতা অপরিহার্য।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসের প্রবণতা
বাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসের প্রবণতা সময়ের সাথে সাথে যেমন বাড়ছে। তেমনি
এর সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলোও ক্রমাগত সামনে আসছে। একদিকে যেমন প্রযুক্তির
সহজলভ্যতা, উদ্যোক্তাদের আগ্রহ ও ডিজিটাল পেমেন্টের উন্নতি হয়েছে, অন্যদিকে
আইনি কাঠামো, নিরাপত্তা ও ক্রেতা-সন্তুষ্টি ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন।
তবে বাংলাদেশে ডিজিটাল বাণিজ্যের অগ্রযাত্রা ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে যে এটি
দেশের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। আপনি যদি এই বাজারে কাজ
করতে চান, তবে সময় এখন। এখনই পরিকল্পনা নিন শিখুন নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস
প্রস্তুত করুন এবং আজ থেকেই যেকোনো জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে নিজের যাত্রা শুরু
করুন। 250464



অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url