মোবাইল দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ড করার সেটিংস
মোবাইল দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ড করার সেটিংস জানতে চাইলে সবার আগে যে প্রশ্নটি মাথায়
আসে তা হলো স্ক্রিন রেকর্ড কিভাবে করে? আজকের দিনে অনলাইন ক্লাস, গেম খেলা,
টিউটোরিয়াল তৈরি, বন্ধুদের কিছু দেখানোর জন্য স্ক্রিন রেকর্ডিং অনেক সময় জরুরি
হয়ে পড়েছে।
স্ক্রিন রেকর্ড মানে হলো আপনার মোবাইলের পর্দায় যা কিছু হচ্ছে সেটি ভিডিও আকারে
সেভ হয়ে যাবে। এতে চাইলে আপনার ভয়েসও রেকর্ড করতে পারেন আবার শুধু মোবাইলের
সাউন্ডও রাখতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ড করার সেটিংস
- মোবাইল দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ড করার সেটিংস
- কেন মোবাইলে স্ক্রিন রেকর্ড দরকার
- স্ক্রিন রেকর্ডিং কীভাবে কাজ করে
- অডিও ও ভিডিও কোয়ালিটি সেটিংস অন-অফ করার নিয়ম
- ফ্রেম রেট সেটিংস কেন গুরুত্বপূর্ণ
- রেকর্ডিং চলাকালে নোটিফিকেশন বন্ধ করার নিয়ম
- মোবাইল স্টোরেজ সমস্যা এড়ানোর উপায়
- স্ক্রিন রের্কড করার অ্যাপ
- ভিডিও এডিট করার সহজ উপায়
- স্ক্রিন রেকর্ডিং এর সাধারণ সমস্যা ও সমাধান
- লেখকের মন্তব্যঃ মোবাইল দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ড করার সেটিংস
মোবাইল দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ড করার সেটিংস
মোবাইল দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ড করার সেটিংস জানা এখনকার দিনে অনেক জরুরি।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে স্ক্রিন রেকর্ড করার জন্য প্রথমে মোবাইলের কুইক সেটিংস
থেকে Screen Recorder অপশনটি চালু করতে হবে। অনেক সময় ডিফল্টভাবে এই অপশনটি
শর্টকাটে নাও থাকতে পারে সেক্ষেত্রে আপনি Edit বাটনে গিয়ে সেটি কুইক সেটিংসে
যুক্ত করতে পারবেন।
রেকর্ডিং শুরু করার আগে আপনি চাইলে মাইক্রোফোন অথবা ইন্টারনাল অডিও সাউন্ড
যুক্ত করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলেই সহজেই ভিডিও পরিষ্কার দেখতে রেজোলিউশন
এবং কোয়ালিটি ঠিক করে রেকর্ড শুরু করতে পারবেন। কাজ শেষ হলে নোটিফিকেশন
বারে গিয়ে Stop বাটন চাপলেই রেকর্ডিং বন্ধ হবে এবং ভিডিও গ্যালারিতে সেভ হবে।
মোবাইল দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ড করার সেটিংস জানা থাকলে আপনি আপনার ফোনের কার্যক্রম
সহজে ভিডিও আকারে রেকর্ড করতে পারেন।আইফোনে স্ক্রিন রেকর্ড করার সেটিংস কিছুটা
আলাদা। প্রথমে Settings থেকে Control Center এ যেতে হবে এবং সেখানে Screen
Recording অপশনটি কুইক সেটিংসে অ্যাড করতে পারবেন। সেখানে স্ক্রিন রেকর্ড বাটনে
চাপ দিলে রেকর্ডিং শুরু হবে।
কেন মোবাইলে স্ক্রিন রেকর্ড দরকার
মূলত শিক্ষা, কাজ, বিনোদন ও তথ্য সংরক্ষণের জন্য স্ক্রিন রেকর্ডিং অপরিহার্য
একটি টুল। মোবাইলের স্ক্রিনে যা কিছু ঘটে তা ভিডিও আকারে সংরক্ষণ করে পরে
শেখা, শেখানো কিংবা শেয়ার করার জন্য কাজে আসে। শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস,
লেকচার বা প্রেজেন্টেশন স্ক্রিন রেকর্ড করে রাখলে পরবর্তীতে কাজ করার সময়
সহজেই আবার দেখতে পারবে। এতে করে তাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভুলে যাওয়ার ভয়
থাকে না।
এছাড়া যারা ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়ায় টিউটোরিয়াল বানান তাদের জন্যও স্ক্রিন
রেকর্ডিং খুব জরুরি। কোনো অ্যাপের ব্যবহার শেখাতে বা মোবাইল সেটিংস বোঝানোর
সময় সবকিছু ভিডিও আকারে দেখানোর সেরা উপায় হলো স্ক্রিন রেকর্ড। গেমারদের জন্য
মোবাইলে স্ক্রিন রেকর্ড খুব উপকারী। PUBG, Free Fire, Call of Duty এর মতো
গেম খেলতে গিয়ে নিজের গেমপ্লে রেকর্ড করে ইউটিউব বা ফেসবুকে আপলোড করলে অনেক
দর্শক পাওয়া যায় এবং ইনকামের সুযোগও তৈরি হয়।
অফিসিয়াল কাজ ও মিটিং সেভ করার জন্যও স্ক্রিন রেকর্ড অপরিহার্য। অনলাইন
মিটিং, প্রেজেন্টেশন বা ভিডিও কনফারেন্স রেকর্ড করে রাখলে পরে সহজেই রিভিউ
করতে পারবেন। স্ক্রিন রেকর্ড অনেক সময় প্রমাণ রাখার কাজেও আসে। চ্যাট, লেনদেন
বা কোনো অ্যাপের সমস্যায়ও ভিডিও প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারনে।
স্ক্রিন রেকর্ডিং কীভাবে কাজ করে
স্ক্রিন রেকর্ডিং এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে মোবাইল, ট্যাব বা কম্পিউটারের
স্ক্রিনে যা কিছু চলছে তা ভিডিও আকারে রেকর্ড করা হয়। স্ক্রিন রেকর্ডিং আসলে
ডিভাইসের ডিসপ্লে আউটপুট ও অডিও সিগন্যাল একসাথে ক্যাপচার করে একটি ভিডিও
ফাইলে কনভার্ট করার মাধ্যমে কাজ করে। যখন আপনি স্ক্রিন রেকর্ডার চালু করেন তখন অপারেটিং সিস্টেম ডিসপ্লে বাফার
থেকে প্রতিটি ফ্রেম কপি করতে শুরু করে।
এই ফ্রেমগুলোকে ঠিক যেমনটা স্ক্রিনে
দেখা যাচ্ছে তেমনি ভাবে আপনার ফোনে ভিডিও ফরম্যাটে রূপান্তরিত হয়। যদি মাইক্রোফোন
চালু থাকে তবে বাইরের শব্দও রেকর্ড হয়। আবার ইন্টারনাল অডিও সিলেক্ট করলে মোবাইলের ভেতরের সাউন্ড যেমন গেম, ভিডিও বা
অ্যাপের শব্দ সরাসরি ভিডিওর সাথে মিশে যায়।
রেকর্ডিং চলাকালীন সিস্টেম একটি
এনকোডার ব্যবহার করে ভিডিও কমপ্রেস করে যাতে ভিডিওর সাইজ কম হয় কিন্তু
কোয়ালিটি বজায় থাকে। যখন আপনি Stop বাটনে চাপ দেন তখন পুরো রেকর্ড করা
ডেটা প্রসেস হয়ে একটি সম্পূর্ণ ভিডিও ফাইলে পরিণত হয় এবং মোবাইলের গ্যালারি
সেভ হয়ে যায়।
অডিও ও ভিডিও কোয়ালিটি সেটিংস অন-অফ করার নিয়ম
মোবাইলে সঠিক সেটিংস ব্যবহার করতে পারলে স্পষ্ট ভিডিও এবং অডিও সাউন্ড ভালোভাবে
ক্যাপচার করা সম্ভব হয়। আপনার রেকর্ডিং শুরু করার ভালো ফল পেতে আগে সঠিক
কোয়ালিটি সেট করে নিন। কিছু কিছু ফোনে স্ক্রিন রেকর্ডিং চলাকালীন সময়েও
রেকর্ডিং বন্ধ না করেও অডিও অন বা অফ করা যায়।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলঃ রেকর্ডিং এর সেটিংস ঠিক করতে record screen
এর উপর চেপে ধরলেই সেটিংস গুলো আপনার সামনে চলে আসবে। সেখানে ভিডিও রেজোলিউশন,
ফ্রেম রেট এবং ভিডিও কোয়ালিটি পরিবর্তন করা যায়। উচ্চ রেজোলিউশন এবং উচ্চ
FPS ব্যবহার করলে ভিডিও অনেক স্পষ্ট হয় তবে ফাইল সাইজ বড় হয়।
আবার আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ভিডিও কোয়ালিটি কমিয়ে ফাইল সাইজ ছোটও করতে পারবেন।
একইভাবে আপনি অডিও সেটিংসের মাধ্যমে মাইক্রোফোন বা ইন্টারনাল অডিও অন-অফ করতে
পারবেন। আপনার সব সেটিংস ঠিক করার পর শুধু রেকর্ড বাটনে চাপলেই স্ক্রিন
রেকর্ডিং শুরু হয়ে যাবে।
আইফোনঃ আইফোনে স্ক্রিন রেকর্ডিং সেটিংস Control Center এর মাধ্যমে
সহজে করা যায়। Screen Record বাটনে চেপে ধরে রাখলে Microphone Audio অন বা অফ
করা যায়। Microphone বাটনটি সাদা কালার হয়ে থাকলে Audio অফ আছে ও লাল
কালার হলে অন আছে। ভিডিও করার আগে অবশ্যই চেক করে নিন। এটি অন করলে আপনার
ভয়েস ও বাইরের শব্দ ভিডিওতে যুক্ত হবে।
আইফোনে স্ক্রিন রেকর্ড এর ভিডিওর কোয়ালিটি সেট করা খুবই সহজ। iOS এ ভিডিও
কোয়ালিটি মূলত রেজোলিউশন ও ফ্রেম রেট দ্বারা নির্ধারিত হয়। এছাড়া iOS
স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিও কোয়ালিটি অ্যাডজাস্ট করে তবে নতুন iOS ভার্সনে Settings
থেকে Camera থেকে Record Video থেকে ভিডিও রেজোলিউশন ও FPS পরিবর্তন করতে
পারবেন।
ফ্রেম রেট সেটিংস কেন গুরুত্বপূর্ণ
ফ্রেম রেট অর্থাৎ Frames Per Second হলো ভিডিওতে এক সেকেন্ডে প্রদর্শিত
ফ্রেমের সংখ্যা। স্ক্রিন রেকর্ডিংয়ে ফ্রেম রেট সেটিংস খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ
এটি ভিডিওর মসৃণতা, স্পষ্টতা এবং দেখার অভিজ্ঞতা নির্ধারণ করে। উচ্চ ফ্রেম
রেট যেমন ৬০ FPS ব্যবহার করলে ভিডিও অনেক বেশি মসৃণ এবং প্রাকৃতিক দেখায়। এটি
বিশেষভাবে দরকার হয় গেমপ্লে বা দ্রুত মুভমেন্ট ভিডিও রেকর্ড করার জন্য।
অপরদিকে ৩০ FPS ভিডিও সাধারণ দেখার জন্য যথেষ্ট হলেও অনেক অ্যাকশন বা ফাস্ট
মোশন দৃশ্যে কিছুটা ঝাপসা হতে পারে। ফ্রেম রেট এর ভিন্নতা ফাইল সাইজকেও ভিন্ন
করে। FPS বেশি হলে ভিডিওর ফাইল সাইজ বড় হয় এবং FPS কম হলে ভিডিও
ছোট হয় কিন্তু মসৃণতা কমে যায়। তাই রেকর্ডিং করার আগে ভিডিওর ধরন এবং
প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রেম রেট নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রেকর্ডিং চলাকালে নোটিফিকেশন বন্ধ করার নিয়ম
রেকর্ডিং চলাকালে নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ হঠাৎ করে
নোটিফিকেশন এসে আপনার ভিডিওতে বিঘ্নতা সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনার রেকর্ডিংকে
খারাপ করে দিতে পারে। মোবাইল বা আইফোনে স্ক্রিন রেকর্ডিং চলাকালীন নোটিফিকেশন
বন্ধ করার জন্য সহজ পদ্ধতি হলো Do Not Disturb মোড ব্যবহার করা।
Do Not Disturb মোড অন করতে মোবাইলের কন্ট্রোল সেটিংস এ যান তারপর Do Not
Disturb চালু করুন। এতে কল, মেসেজ, অ্যাপ নোটিফিকেশন সব বন্ধ থাকবে এবং
রেকর্ডিং সম্পূর্ণ বাধাহীন ভাবে রের্কড হবে। চাইলে আপনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য
ডু নট ডিস্টার্ব সেট করতে পারেন যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ডিং শুরু হওয়ার
আগে এবং শেষ হওয়ার পর মোড অন ও অফ হয়ে যায়।
মোবাইল স্টোরেজ সমস্যা এড়ানোর উপায়
মোবাইল দিয়ে দীর্ঘ সময় স্ক্রিন রেকর্ডিং করার সময় স্টোরেজ সমস্যা একটি সাধারণ
কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। যদি আপনার ফোনের মেমোরি পর্যাপ্ত না থাকে তাহলে
আপনার রেকর্ডিং মাঝপথে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অথবা ভিডিও ক্র্যাশ করতে পারে যা
একজন পেশাদার ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা। এই সমস্যার সমাধানের জন্য
অপ্রয়োজনীয় ফাইল, পুরানো ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলুন অথবা অন্য কোনো ডিভাইসে
রাখুন।
ফলে মোবাইলের মূল স্টোরেজ ফাঁকা থাকবে এবং নতুন রেকর্ডিংয়ের জন্য
পর্যাপ্ত জায়গা থাকবে। এছাড়া গুগল ড্রাইভ বা ওয়ানড্রাইভও ব্যবহার করে
আপনি স্ক্রিন রেকর্ডিং সরাসরি ক্লাউডে আপলোড করতে পারেন এতে আপনার ফোনের
মেমোরি ফুল হবে না অথবা আপনি চাইলে রেকর্ডিং শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই
ভিডিওগুলো ক্লাউডে সরিয়ে দিতে পারেন।
উচ্চ রেজোলিউশন যেমন 4K বা উচ্চ ফ্রেম রেট যেমন 60FPS ব্যবহার করলে ভিডিওর
ফাইল সাইজ বড় হয়। তাই দীর্ঘ স্ক্রিন রেকর্ডিং করার সময় তাহলে 720p বা 1080p ও
30FPS সেট করে কাজ করতে পারেন। এটি আপনাকে আপনার ফোনের স্টোরেজ কম খরচ করে
যথেষ্ট ভালো মানের ভিডিও দিতে পারে।
আপনার রেকর্ডিং যদি খুব দীর্ঘ হয় তাহলে একটি রেকর্ডিংকে একাধিক সেশনে ভাগ
করে রেকর্ডিং শেষ করতে পারেন। এতে প্রতিটি ফাইল ছোট হবে এবং স্টোরেজ সমস্যা ও
ভিডিও ক্র্যাশের সম্ভাবনাও থাকবে না। এছাড়া মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ
ব্যবহার করেও আপনি আপনার স্টোরেজ সমস্যা এড়াতে পারেন।
স্ক্রিন রের্কড করার অ্যাপ
স্ক্রিন রেকর্ড করার জন্য বর্তমানে অনেক ধরনের অ্যাপ রয়েছে যা আপনাকে মোবাইল
ও পিসি উভয়ের জন্য সহজ ও প্রফেশনাল মানের রেকর্ডিং করতে সাহায্য করবে। মোবাইল
দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ড করার সেটিংস ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার ফোনের
স্ক্রিনের প্রতিটি কাজ উচ্চমানের ভিডিও আকারে রেকর্ড করতে পারবেন। চলুন
কিছু স্ক্রিন রের্কড করার অ্যাপ সম্পর্কে জানি।
মোবাইলের জন্য
AZ Screen Recorder,
Mobizen Screen Recorder অন্যতম ও জনপ্রিয়। এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করলে আপনি কোনো রুট ছাড়াই
সহজে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। এই অ্যাপগুলো আপনাকে রেজোলিউশন, ফ্রেম রেট ও বিটরেট কাস্টমাইজ করার সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি আপনাকে Facecam এর সুবিধা দিতেও সক্ষম।
AZ Screen Recorder দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ড করার উপায়ঃ মোবাইলের স্ক্রিন
রেকর্ড করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি অ্যাপ
AZ Screen Recorder। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই গেমপ্লে, অ্যাপ টিউটোরিয়াল, ক্লাস
রেকর্ডিং কিংবা যেকোনো স্ক্রিন অ্যাক্টিভিটি ভিডিও আকারে রেকর্ড করতে পারবেন।
প্রথমে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে AZ Screen Recorder ডাউনলোড করে ইনস্টল
করতে হবে।
অ্যাপটি চালু করার পর স্ক্রিনে সেটিংস আইকন দেখা যাবে যা দিয়ে আপনি
রেকর্ডিং নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। রেকর্ড করার আগে কিছু সেটিংস ঠিক করা জরুরি।
ভালো মানের ভিডিওর জন্য রেজোলিউশন 1080p এবং ফ্রেম রেট 60fps ব্যবহার করা
ভালো। যদি আপনার ডিভাইসের পারফরম্যান্স কম হয় তবে 720p ও 30fps সেটিংস
ব্যবহার করতে পারেন।
ভিডিওর মান পরিষ্কার রাখতে বিটরেট ৮-১২ Mbps রাখাই ভালো তবে মোবাইল স্লো হলে
৫ Mbps ব্যবহার করতে পারেন। সাউন্ড রেকর্ড করতে চাইলে Microphone অন করতে
হবে। সব সেটিংস ঠিক করার পর ফ্লোটিং আইকনের Record বাটনে চাপতে হবে। ৩ সেকেন্ডের
কাউন্টডাউন শেষে রেকর্ডিং শুরু হবে।
এরপর আপনি গেম খেলুন বা যেকোনো অ্যাপ চালান সব কিছুই রেকর্ড হবে। রেকর্ডিং
চলাকালে উপরের নোটিফিকেশন বার থেকে Pause বা Stop করার অপশন পাওয়া যাবে। কাজ
শেষ হলে Stop বাটনে চাপলেই ভিডিও আপনার মোবাইলের গ্যালারিতে সেভ হয়ে যাবে।
সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো AZ Screen Recorder এ ইনবিল্ট ভিডিও এডিটিং টুলসও আছে।
রেকর্ড করা ভিডিওতে টেক্সট, লোগো যোগ করার সুবিধাও রয়েছে। ফলে আলাদা কোনো
এডিটিং অ্যাপ ছাড়াই ভিডিও প্রস্তুত করা সম্ভব।
Mobizen Screen Recorder দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ড করার উপায়ঃ যারা
গেমপ্লে ভিডিও, টিউটোরিয়াল বা দৈনন্দিন কাজের স্ক্রিন রেকর্ড করতে চান
তাদের জন্য
Mobizen Screen Recorder
খুব কার্যকর একটি অ্যাপস। গুগল প্লে স্টোর থেকে Mobizen Screen Recorder
ডাউনলোড ও ইনস্টল করার পর অ্যাপ চালু করলে স্ক্রিনে একটি ফ্লোটিং উইন্ডো
দেখা যাবে যেখান থেকে আপনি সহজেই রেকর্ডিং শুরু করতে পারবেন।
রেকর্ডিং শুরুর আগে ভিডিওর মান ঠিক করার জন্য কিছু সেটিংস করতে হবে। ভালো
মানের ভিডিওর জন্য 1080p Full HD রেজোলিউশন ব্যবহার করতে পারেন। গেমপ্লে বা
দ্রুত গতির ভিডিও রেকর্ড করতে চাইলে ফ্রেম রেট 60FPS সেট করুন। এছাড়া
ভিডিওর স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বিটরেট ৮-১২ Mbps রাখলে ভিডিওর মান ভালো হয়।
যারা মোবাইলের স্টোরেজ বাঁচাতে চান তারা চাইলে 720p বা 30FPS এ রেকর্ড করতে
পারেন।
Mobizen Screen Recorder এ সাউন্ড রেকর্ড করার জন্য আলাদা সুবিধা রয়েছে।
আপনি চাইলে শুধুমাত্র Internal Audio রেকর্ড করতে পারবেন আবার চাইলে
Microphone ব্যবহার করে নিজের কণ্ঠও যোগ করতে পারবেন। ফলে টিউটোরিয়াল ভিডিও
বানানোর সময় সরাসরি ব্যাখ্যা দিয়ে রেকর্ড করা সম্ভব।রেকর্ডিং শুরু করতে
ফ্লোটিং আইকনের Record বাটনে চাপুন। ৩ সেকেন্ড কাউন্টডাউনের পর রেকর্ডিং
শুরু হবে। কাজ শেষে Stop বাটনে চাপলেই ভিডিও গ্যালারিতে সেভ হয়ে যাবে।
Mobizen Screen Recorder এর বিশেষ ফিচার হলো Facecam সাপোর্ট aircircle
mode থেকে নিজের লোগোর বা নিজের ছবি যোগ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি
স্ক্রিন রেকর্ডের পাশাপাশি ফ্রন্ট ক্যামেরা চালু করে নিজের মুখও ভিডিওতে
যুক্ত করতে পারবেন। যারা গেমপ্লে ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করেন বা টিউটোরিয়াল
তৈরি করেন তাদের জন্য এটি একটি বাড়তি সুবিধা।
সব সেটিংস ঠিক করে ভিডিও এর আইকোনে চাপলেই ভিডিও রেকর্ড হওয়া শুরু হয়ে
যাবে। Mobizen Screen Recorder একটি অল-ইন-ওয়ান স্ক্রিন রেকর্ডিং অ্যাপ
যেখানে ভিডিও রেকর্ড থেকে শুরু করে এডিটিং, সাউন্ড কন্ট্রোল এমনকি ফেসক্যাম
ব্যবহারের সুযোগও রয়েছে। যারা মোবাইল থেকেই প্রফেশনাল মানের স্ক্রিন রেকর্ড
করতে চান তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ সমাধান।
আসুন কয়েকটি পিসির স্ক্রিন রের্কডারের নামও জেনে রাখি। পিসির জন্য
OBS Studio,
Camtasia, Bandicam সবচেয়ে
বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। OBS Studio সম্পূর্ণ ফ্রি এবং ওপেন সোর্স যা লাইভ
স্ট্রিমিং ও রেকর্ডিং দুইটা কাজই করতে পারে। Camtasia পেইড হলেও এর ইউজার
ইন্টারফেস খুব সহজ এবং এর এডিটিং টুলসও রয়েছে। Bandicam হালকা ও উচ্চ মানের
ভিডিও রেকর্ডিং সরবরাহ করে থাকে।
ভিডিও এডিট করার সহজ উপায়
মোবাইলের জন্যঃ CapCut,
InShot,
VN Video Editor, এবং
KineMaster
এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ডিভিওতে সহজেই কাট, ট্রিম, মিউজিক যোগ,
টেক্সট বা স্টিকার অ্যাড করতে পারবেন। CapCut অনেক ট্রেন্ডি ইফেক্ট ও
ট্রানজিশন দিয়ে থাকে। InShot হালকা এবং দ্রুত কাজ করে যা সোশ্যাল মিডিয়ার
জন্য ভিডিও তৈরি করতে উপযুক্ত। VN Video Editor ও KineMaster লেয়ার,
গ্রেডিং, এবং ভিডিও স্প্লিট ভালো দেয় ও প্রফেশনাল ফিচারও বেশি দিয়ে থাকে ।
পিসির জন্যঃ পিসির জন্য
Filmora,
Adobe Premiere Pro,
DaVinci Resolve
এবং Shotcut
অন্যতম।Filmora ব্যবহার সহজ এবং প্রিমেড টেমপ্লেট দেয় যা নতুনদের জন্য বেশ
সহায়তা করে। Premiere Pro পেশাদার মানের এডিটিং দেয় এবং লেয়ার, কালার
গ্রেডিং, ট্রানজিশন ও স্পেশাল এফেক্টের পূর্ণ সুবিধা দেয়। DaVinci Resolve
ফ্রি সংস্করণেও অত্যাধুনিক কালার গ্রেডিং ও এডিটিং ফিচার দেয়। Shotcut
সম্পূর্ণ ফ্রি এবং ওপেন সোর্স যা হালকা এবং বেশ কার্যকর।
স্ক্রিন রেকর্ডিং এর সাধারণ সমস্যা ও সমাধান
নতুন বা পুরনো স্ক্রিন রেকর্ডিং কারীরা প্রায়ই স্ক্রিন রেকর্ডিংয়ের সময়
বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন। এই সমস্যাগুলো আপনার ভিডিওর মান কমিয়ে দিতে
পারে এবং রেকর্ডিং প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে। কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ
করলে এই সমস্যাগুলো এড়ানো সম্ভব। আসুন স্ক্রিন রেকর্ডিং এর সবচেয়ে সাধারণ
কিছু সমস্যা ও তাদের কার্যকর সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
স্টোরেজ সমস্যাঃ লম্বা রেকর্ডিং বা উচ্চ রেজোলিউশনের
ভিডিও বড় ফাইল তৈরি করে ফলে মোবাইল বা কম্পিউটারের স্টোরেজ দ্রুত পূর্ণ
হয়ে যায়। স্টোরেজ পূর্ণ হলে রেকর্ডিং মাঝপথে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এমণকি আপনার
ভিডিও ক্র্যাশও করতে পারে।
সমাধানঃ রেকর্ডিং শুরুর আগে অপ্রয়োজনীয় ফাইল, ছবি, ভিডিও, অ্যাপ
ডিলিট করুন। লম্বা রেকর্ডিংয়ের জন্য ক্লাউড স্টোরেজ যেমন গুগল ড্রাইভ,
ড্রপবক্স, ওয়ানড্রাইভ ব্যবহার করুন। এতে ভিডিও সরাসরি আপলোড করা যায় এবং
ডিভাইসের স্টোরেজ ফাঁকা থাকে। ভিডিওর রেজোলিউশন ও ফ্রেম রেটকে মাঝারি মানের
রাখুন। 1080p ও 30FPS দীর্ঘ রেকর্ডিংয়ের জন্য যথেষ্ট মানের ভিডিও দেয় এবং
স্টোরেজও কম খরচ হয়।
ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়াঃ দীর্ঘ সময়ের জন্য রেকর্ডিং
করলে ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। আপনার ফোনের ব্যাটারি কম থাকলে
রেকর্ডিং অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে।
সমাধানঃ রেকর্ডিং চলাকালীন ফোন চার্জে রাখুন। ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ করুন যা ব্যাটারি কম খরচ করতে সাহায্য করে। মোবাইলের
পাওয়ার সেভিং মোড ব্যবহার করতে পারেন তবে এতে কিছু রেকর্ডিং অ্যাপের
পারফরম্যান্স প্রভাবিত হতে পারে।
নোটিফিকেশন বা কলের বাধাঃ রেকর্ডিং চলাকালীন হঠাৎ নোটিফিকেশন বা
কল আসলে ভিডিওতে অপ্রয়োজনীয় সাউন্ড বা পপ আপ দেখা দিতে পারে।
সমাধানঃ স্ক্রিন রেকর্ডিং শুরু করার আগে Do Not Disturb মোড চালু
করুন। এটি কল, মেসেজ এবং অ্যাপ নোটিফিকেশনকে ব্লক করে এবং ভিডিওতে কোনো
ব্যাঘাত সৃষ্টি করে না। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডু নট ডিস্টার্ব সেট করতে
পারেন যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোড চালু ও বন্ধ হয়।
ভিডিওর মান কম হওয়াঃ অনেক সময় রেজোলিউশন বা ফ্রেম রেট ঠিক না
রাখলে ভিডিও ব্লার হতে পারে। এছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ চললে ডিভাইসের
প্রসেসিং ক্ষমতা কমে যায় যার ফলে ভিডিওর মান হ্রাস পায়।
সমাধানঃ ভিডিওর রেজোলিউশন ও ফ্রেম রেটকে মাঝারি মানে রাখুন।
ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ রাখুন এবং RAM মুক্ত রাখুন। প্রয়োজনে স্ক্রিন
রেকর্ডিং অ্যাপের কোয়ালিটি সেটিংস কাস্টমাইজ করুন।
অ্যাপ ক্র্যাশ বা হ্যাংঃ কিছু সময় স্ক্রিন রেকর্ডিং অ্যাপ হঠাৎ
বন্ধ হয়ে যায় বা হ্যাং করতে পারে। এটি সাধারণত অ্যাপের জন্য, ডিভাইসের RAM
কম হওয়া বা পুরানো সফটওয়্যার ব্যবহারের কারণে ঘটে থাকে।
সমাধানঃ সর্বদা আপনার ফোনের অ্যাপের সর্বশেষ আপডেট ব্যবহার করুন।
রেকর্ডিং করার আগে ডিভাইস রিস্টার্ট করুন। লম্বা রেকর্ডিংয়ের জন্য ফাইল সেশন
ভাগ করে নিন। অপ্রয়োজনীয় ফাইল ও অ্যাপ মুছে স্টোরেজ ফাঁকা রাখুন।
সাউন্ড সমস্যাঃ কিছু সময় রেকর্ডিংয়ে অডিও ঠিকমতো আসে না বা
ব্যাকগ্রাউন্ডের শব্দ বেশি আসে।এটি বিশেষভাবে শিক্ষামূলক ভিডিও বা
টিউটোরিয়ালে সমস্যা সৃষ্টি করে।
সমাধানঃ রেকর্ডিং শুরু করার আগে ফোন বা পিসির মাইক্রোফোন পরীক্ষা
করুন। ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়াজ কমানোর জন্য নিরিবিলি স্থান বেছে নিন। প্রয়োজনে
এক্সটার্নাল মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে পারেন।
ভিডিও এডিটিং সমস্যাঃ ফাইল বড় হওয়াই স্ক্রিন রেকর্ডিং শেষে
ভিডিও এডিট করা অনেক সময় সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি আপনার সিস্টেম
ধীর গতির হওয়ারও সম্ভবনা থাকে।
সমাধানঃ ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য হালকা অ্যাপ বা সফটওয়্যার
ব্যবহার করুন। বড় ফাইলের ক্ষেত্রে ভিডিওকে ছোট অংশে ভাগ করে এডিট করতে
পারেন।
লেখকের মন্তব্যঃ মোবাইল দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ড করার সেটিংস
মোবাইল দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ড করার সেটিংস অনেকের কাছে জটিল মনে হলেও আসলে
বিষয়টি খুবই সহজ। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন দুই ধরনের মোবাইলেই ইনবিল্ট স্ক্রিন রেকর্ডিং অপশন থাকে যা ব্যবহার করে আপনি সহজেই ভিডিও টিউটোরিয়াল,
গেমপ্লে বা যেকোনো মোবাইল অ্যাক্টিভিটি রেকর্ড করতে পারবেন।
তবে শুধু রেকর্ড বোতাম টিপলেই কাজ শেষ নয়। ভালো মানের ভিডিও পেতে কিছু সেটিংস
ঠিক রাখা জরুরি যেমন অডিও রেকর্ড অন/অফ করা, ভিডিও কোয়ালিটি নির্বাচন, ফ্রেম
রেট ঠিক করা এবং স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট। অনেক সময় ভুল সেটিংসের কারণে ভিডিও
ঝাপসা হয় বা সাউন্ড রেকর্ড হয় না। তাই সঠিকভাবে সেটিংস জানা এবং প্রয়োগ করা
খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আমার পরামর্শ হলো স্ক্রিন রেকর্ডিং করার আগে সবসময় আপনার ফোনের স্টোরেজ ফাঁকা
রাখুন, অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ করুন এবং রেজোলিউশন মাঝারি মানে সেট করুন। এতে আপনার মোবাইল হ্যাং ও হবে না আবার আপনার ভিডিও কোয়ালিটিও উচ্চমানের এবং সুন্দর আসবে। ভালো
থাকুন। ধন্যবাদ। 250737
FAQ
- মোবাইলে স্ক্রিন রেকর্ড করার সেটিংস কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ অধিকাংশ স্মার্টফোনে নোটিফিকেশন প্যানেল বা কুইক সেটিংস এ স্ক্রিন
রেকর্ডার অপশন থাকে। না থাকলে আলাদা অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে।
- স্ক্রিন রেকর্ড করার জন্য কি আলাদা অ্যাপ দরকার হয়?
উত্তরঃ যদি আপনার মোবাইলে ইনবিল্ট স্ক্রিন রেকর্ডার না থাকে তাহলে AZ Screen
Recorder, Mobizen বা DU Recorder এর মতো অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।
- স্ক্রিন রেকর্ড করার সময় অডিও কীভাবে চালু বা বন্ধ করব?
উত্তরঃ রেকর্ডিং শুরু করার আগে সেটিংসে গিয়ে মাইক্রোফোন অন/অফ করুন। চাইলেই
শুধু সিস্টেম অডিও বা মাইক্রোফোন অডিও সিলেক্ট করা যায়।
- কোন ভিডিও কোয়ালিটিতে স্ক্রিন রেকর্ড করা ভালো?
উত্তরঃ সাধারণ ব্যবহারের জন্য 720p HD যথেষ্ট। তবে পরিষ্কার ভিডিও চাইলে
1080p Full HD নির্বাচন করুন।
- স্ক্রিন রেকর্ডিং এর সময় ফ্রেম রেট কত রাখা উচিত?
উত্তরঃ গেম বা স্মুথ ভিডিওর জন্য 60fps বেছে নেওয়া ভালো। সাধারণ রেকর্ডিংয়ের
জন্য 30fps যথেষ্ট।
- স্ক্রিন রেকর্ডিং কোথায় সেভ হয়?
উত্তরঃ বেশিরভাগ মোবাইলে ভিডিওগুলো Gallery তে Screen Recordings ফোল্ডারে
সেভ হয়।
- দীর্ঘ সময় রেকর্ড করলে মোবাইল কেন হ্যাং হয়?
উত্তরঃ কারণ লম্বা ভিডিও রেকর্ড করতে গিয়ে RAM ও প্রসেসরের ওপর চাপ পড়ে।
সমাধান হলো রেকর্ডিংয়ের আগে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ করা।
- স্ক্রিন রেকর্ড করার সময় নোটিফিকেশন কীভাবে বন্ধ করব?
উত্তরঃ Do Not Disturb মোড চালু করলে রেকর্ডিং চলাকালে কোনো নোটিফিকেশন আসবে
না।
- স্ক্রিন রেকর্ড করার সময় ভলিউম কম বা বেশি করা যায় কি?
উত্তরঃ হ্যাঁ, রেকর্ডিং চলাকালে মোবাইলের ভলিউম বাটন ব্যবহার করে সাউন্ড
বাড়ানো বা কমানো যায়।
- স্ক্রিন রেকর্ডিং করার সময় কি ফ্রন্ট ক্যামেরা চালু করা যায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ, অনেক মোবাইলেই ফ্রন্ট ক্যামেরা ওভারলে দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ডিং
করা যায়। এটি টিউটোরিয়াল বা গেমপ্লে ভিডিওর জন্য কাজে আসে।
- আইফোনে কীভাবে স্ক্রিন রেকর্ড করবেন?
উত্তরঃ iPhone এ Settings থেকে Control Center থেকে Screen Recording
থেকে অপশন অ্যাড করুন। এরপর কন্ট্রোল সেন্টার থেকে রেকর্ডিং শুরু করতে
পারবেন।
- স্ক্রিন রেকর্ডিং কি একসাথে লাইভ স্ট্রিম করা যায়?
উত্তরঃ কিছু অ্যাপ যেমন DU Recorder দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ডিং করার পাশাপাশি
সরাসরি লাইভ স্ট্রিম করা যায়।
- রেকর্ড করা ভিডিও কীভাবে এডিট করব?
উত্তরঃ রেকর্ড করা ভিডিও এডিট করতে CapCut, KineMaster, InShot এর মতো অ্যাপ
ব্যবহার করতে পারেন।
- স্ক্রিন রেকর্ডিং করার সময় স্টোরেজ সমস্যার সমাধান কী?
উত্তরঃ ভিডিও রেকর্ডিংয়ের আগে অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করুন, ক্লাউড স্টোরেজ
ব্যবহার করুন অথবা SD কার্ডে সেভ লোকেশন পরিবর্তন করুন।
- কোন মোবাইল স্ক্রিন রেকর্ডিংয়ের জন্য সবচেয়ে ভালো?
উত্তরঃ যে মোবাইলে উচ্চ ক্ষমতার RAM, দ্রুত প্রসেসর এবং যথেষ্ট স্টোরেজ আছে
সেই মোবাইলটি স্ক্রিন রেকর্ডিংয়ের জন্য সেরা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url